নির্বাচিত সরকার যারা চায় না, তারেক রহমান তাদের জন্য বড় বাধা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : যারা নির্বাচিত সরকার চায় না, তাদের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, যারা চায় না বাংলাদেশটা স্থিতিশীলতার দিকে যাক, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটুক, একটি নির্বাচিত সরকার আসুক, যারা চায় বাংলাদেশ আফগানিস্তান বা অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক, তাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছেন তারেক রহমান।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা। বিএনপির এই নেত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমান এখন আর কেবলমাত্রই বিএনপির কাণ্ডারী বা বিএনপির প্রধান হিসেবে যদি আমরা দেখি, তাহলে ভুল করব।

বাংলাদেশে প্রোগ্রেসিভ পলিটিক্সের, গণতান্ত্রিক ধারার ও একটা মধ্যপন্থার রাজনীতি আগামীতে টিকতে পারবে কি পারবে না, সেটা অনেকখানি নির্ভর করে তারেক রহমান সুস্থভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি করতে পারবেন কিনা তার ওপর। সুতরাং তার দেশে ফিরে আসার প্রশ্নটি কেবলমাত্র তার একক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত কিংবা তার ভীষণ রকম অসুস্থ স্বাস্থ্য সংকটে থাকা মায়ের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে অনেক বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য, বাংলাদেশের ভাগ্য কোন দিকে যাবে, সেটার সঙ্গে তার ফেরা না ফেরার একটা ওতপ্রোত সম্পর্ক আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো নাগরিকের নিরাপত্তার প্রাথমিক এবং প্রধান দায়িত্ব সরকারের।

তারেক রহমান যদি কিছুটা হলেও মনে করেন তার নিরাপত্তার ব্যাপারে ঘাটতি আছে, তিনি অনিরাপদ বোধ করেন, সেটা যেকোনো কারণেই করুক না কেন এর প্রাথমিক দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকার কি আসলে চাইছে যে, বাংলাদেশটা গণতন্ত্রের দিকে উত্তরণ ঘটুক? এই প্রশ্ন করছি এ কারণেই, আমরা প্রথমে শুনেছিলাম ডিসেম্বরের তিন-চার তারিখে তফসিল ঘোষণা করা হবে। গতকালকে দেখলাম তফসিল ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সেকেন্ড উইকে তফসিলের ঘোষণা করার একটা সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে কি আদৌ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে? এই প্রশ্নটি আমার না, প্রশ্নটি যার সঙ্গেই দেখা হয়, তিনি নাগরিক সমাজের সদস্য হোক কিংবা একেবারেই সাধারণ খেটে খাওয়া আমার কনস্টিটিউয়েন্সি একজন ভোটার হোক, এই প্রশ্নটি আমাকে সর্বক্ষণ শুনতে হয়।

তিনি বলেন, প্রশ্নটা এ কারণেই শুনতে হয়, নির্বাচন আসার আগে যে এক ধরনের পরিবেশ তৈরি হওয়ার কথা, যেরকম পরিবেশ আমরা ৯১, ৯৬ ও ২০০১ ও ২০০৮ এ দেখেছি, সেরকম কোনো বাতাস কিন্তু আমরা এখন লক্ষ্য করি না। চারদিকে খুবই থমথমে একটা পরিস্থিতি।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে রাজনীতি নিয়ে খুবই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল চারপাশে। এনসিপি জোট হচ্ছে, জোট হচ্ছে না। জামায়াতের বড় বড় হুঙ্কার।

গণভোট আগে না হলে তারা নির্বাচনই করবে না কিংবা বিএনপির সঙ্গে কোন দল জোট করছে, কোন দল করছে না। বিএনপির ৬৩টি আসনে কারা মনোনয়ন পাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যারা মনোনীত হয়ে তাদের মধ্যে কোন্দল। অর্থাৎ নানান রকমভাবে রাজনীতির মাঠটা খুবই উত্তপ্ত ছিল।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতির মাঠ একেবারেই শীতল ও ঠাণ্ডা। যারা রাজনীতি বিশ্লেষণ করেন, এমন অনেকেই খুবই স্পষ্ট এবং দ্যর্থহীন ভাষায় বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে তারা কোনো নির্বাচন দেখেন না। আমি একজন রাজনীতির ছোট কর্মী হিসেবে আমি মনে করি না বাংলাদেশে খুব দ্রুত কোনো নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জাতীয় পার্টি নিয়ে কুসুম কুসুম প্রেম চলবে না: নাসীরুদ্দীন

» চকবাজারের আগুন সোয়া ১ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

» রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ লুক দেখে যা বললেন দীপিকা

» এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য জানা যাবে মঙ্গলবার

» ৮ দলের ঐক্য আমাদেরকে সংসদে নিয়ে যাবে: জামায়াত আমির

» নির্বাচিত সরকারের পক্ষে এত সংস্কার হজম করা কঠিন হতে পারে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

» তারেক রহমানের দেশে আসতে বাধা থাকলে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে: আইন উপদেষ্টা

» তারেক রহমানের দেশে আসতে আইনগত কোনো বাধা নেই : আসিফ নজরুল

» জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত: মামুনুল হক

» মানুষ বলতে বাধ্য হচ্ছে, ‘আগে ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ’: জামায়াত আমির

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নির্বাচিত সরকার যারা চায় না, তারেক রহমান তাদের জন্য বড় বাধা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : যারা নির্বাচিত সরকার চায় না, তাদের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, যারা চায় না বাংলাদেশটা স্থিতিশীলতার দিকে যাক, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটুক, একটি নির্বাচিত সরকার আসুক, যারা চায় বাংলাদেশ আফগানিস্তান বা অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক, তাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছেন তারেক রহমান।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা। বিএনপির এই নেত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমান এখন আর কেবলমাত্রই বিএনপির কাণ্ডারী বা বিএনপির প্রধান হিসেবে যদি আমরা দেখি, তাহলে ভুল করব।

বাংলাদেশে প্রোগ্রেসিভ পলিটিক্সের, গণতান্ত্রিক ধারার ও একটা মধ্যপন্থার রাজনীতি আগামীতে টিকতে পারবে কি পারবে না, সেটা অনেকখানি নির্ভর করে তারেক রহমান সুস্থভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি করতে পারবেন কিনা তার ওপর। সুতরাং তার দেশে ফিরে আসার প্রশ্নটি কেবলমাত্র তার একক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত কিংবা তার ভীষণ রকম অসুস্থ স্বাস্থ্য সংকটে থাকা মায়ের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে অনেক বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য, বাংলাদেশের ভাগ্য কোন দিকে যাবে, সেটার সঙ্গে তার ফেরা না ফেরার একটা ওতপ্রোত সম্পর্ক আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো নাগরিকের নিরাপত্তার প্রাথমিক এবং প্রধান দায়িত্ব সরকারের।

তারেক রহমান যদি কিছুটা হলেও মনে করেন তার নিরাপত্তার ব্যাপারে ঘাটতি আছে, তিনি অনিরাপদ বোধ করেন, সেটা যেকোনো কারণেই করুক না কেন এর প্রাথমিক দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকার কি আসলে চাইছে যে, বাংলাদেশটা গণতন্ত্রের দিকে উত্তরণ ঘটুক? এই প্রশ্ন করছি এ কারণেই, আমরা প্রথমে শুনেছিলাম ডিসেম্বরের তিন-চার তারিখে তফসিল ঘোষণা করা হবে। গতকালকে দেখলাম তফসিল ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সেকেন্ড উইকে তফসিলের ঘোষণা করার একটা সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে কি আদৌ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে? এই প্রশ্নটি আমার না, প্রশ্নটি যার সঙ্গেই দেখা হয়, তিনি নাগরিক সমাজের সদস্য হোক কিংবা একেবারেই সাধারণ খেটে খাওয়া আমার কনস্টিটিউয়েন্সি একজন ভোটার হোক, এই প্রশ্নটি আমাকে সর্বক্ষণ শুনতে হয়।

তিনি বলেন, প্রশ্নটা এ কারণেই শুনতে হয়, নির্বাচন আসার আগে যে এক ধরনের পরিবেশ তৈরি হওয়ার কথা, যেরকম পরিবেশ আমরা ৯১, ৯৬ ও ২০০১ ও ২০০৮ এ দেখেছি, সেরকম কোনো বাতাস কিন্তু আমরা এখন লক্ষ্য করি না। চারদিকে খুবই থমথমে একটা পরিস্থিতি।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে রাজনীতি নিয়ে খুবই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল চারপাশে। এনসিপি জোট হচ্ছে, জোট হচ্ছে না। জামায়াতের বড় বড় হুঙ্কার।

গণভোট আগে না হলে তারা নির্বাচনই করবে না কিংবা বিএনপির সঙ্গে কোন দল জোট করছে, কোন দল করছে না। বিএনপির ৬৩টি আসনে কারা মনোনয়ন পাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যারা মনোনীত হয়ে তাদের মধ্যে কোন্দল। অর্থাৎ নানান রকমভাবে রাজনীতির মাঠটা খুবই উত্তপ্ত ছিল।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতির মাঠ একেবারেই শীতল ও ঠাণ্ডা। যারা রাজনীতি বিশ্লেষণ করেন, এমন অনেকেই খুবই স্পষ্ট এবং দ্যর্থহীন ভাষায় বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে তারা কোনো নির্বাচন দেখেন না। আমি একজন রাজনীতির ছোট কর্মী হিসেবে আমি মনে করি না বাংলাদেশে খুব দ্রুত কোনো নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com